বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের দীর্ঘতম রেল সেতু যমুনা রেল সেতুর উদ্বোধন করেছে, যা ঢাকা এবং উত্তর-পশ্চিম বাংলাদেশের মধ্যে রেল যোগাযোগ উন্নত করবে। পূর্ব তীরে ইব্রাহিমাবাদ রেলওয়ে স্টেশনে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রেল সচিব মোঃ ফাহিমুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাপানি রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচি এবং জাইকা দক্ষিণ এশিয়ার মহাপরিচালক।
এই সেতুটি ৪.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং এতে ৫০টি পিলার এবং ৪৯টি স্প্যান রয়েছে যা ট্রেনগুলিকে ১২০ কিলোমিটার/ঘন্টা বেগে চলাচলের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে যাতে ভ্রমণের সময় উল্লেখযোগ্যভাবে কম হয়। যমুনা বহুমুখী সেতুর তুলনায় যেখানে ফাটল ধরে ট্রেনগুলিকে মাত্র ২০ কিলোমিটার/ঘন্টা গতিতে আটকে রাখা হয়েছিল, এটি একটি বিশাল আপগ্রেড। ২০২০ সালের মার্চ মাসে কাজ শুরু হয়েছিল এবং জাপান এবং অন্যান্য দেশের ৭০০০ শ্রমিকও এতে অংশ নিয়েছিলেন।
প্রকল্পের মোট ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬,৭৮০.৯৬ কোটি টাকা, যার মধ্যে ৭২.৪০১TP3T ব্যয়ের অর্থায়ন করেছে জাইকা। এই সেতুটি ব্রডগেজ মালবাহী ট্রেন পরিবহন করতে পারবে, বিশেষ করে ভারত থেকে আমদানি বৃদ্ধি করতে। বাণিজ্যিক কার্যক্রম ফেব্রুয়ারিতে শুরু হলেও আজ থেকে পূর্ণ গতির ট্রেন পরিষেবা শুরু হচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নামে পরিচিত, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে একটি সরকারি গেজেটে সেতুটির নামকরণ করা হয় যমুনা রেল সেতু। এটি বাংলাদেশে রেলওয়ে নেটওয়ার্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।