২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশে সাক্ষরতার হারের সর্বশেষ সরকারি তথ্য হলো ৭৫.৬১TP3T, যা গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির প্রতিফলন। তবে, এটি আরও ইঙ্গিত দেয় যে সার্বজনীন সাক্ষরতা অর্জনের জন্য দেশটিকে এখনও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে।
সরকার ১৯৯১ সাল থেকে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে এবং উদ্যোক্তারা ৪,২৩২ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ করেছে নিরক্ষরতার বিরুদ্ধে লড়াই করা।
যদিও শিশুরা মূলত এ থেকে অক্ষত, তবুও প্রতি চারজন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে একজন এখনও নিরক্ষর। শিক্ষাবিদরা বিশ্বাস করেন যে সরকারের উচিত আরও সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করা, অনানুষ্ঠানিক প্রাপ্তবয়স্ক শিক্ষা বৃদ্ধি করা এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০১TP3T সাক্ষরতার লক্ষ্য অর্জনের জন্য দারিদ্র্য সম্পর্কিত বাধাগুলি মোকাবেলাকে কেন্দ্রবিন্দুতে আনা।
২০২৪ সালের সরকারি হিসাব এখনও প্রকাশিত হয়নি। অতএব, এই প্রবন্ধ লেখার সময় পর্যন্ত ২০২৫ সালে বাংলাদেশের চূড়ান্ত সাক্ষরতার সংখ্যা অজানা।
বাংলাদেশে ঐতিহাসিক সাক্ষরতার হার:
বছর | সাক্ষরতার হার (১TP3T) | বার্ষিক পরিবর্তন (%) |
1981 | 29.23 | 6.09 |
1991 | 35.32 | 6.09 |
2001 | 47.49 | 12.17 |
2007 | 46.66 | -0.82 |
2011 | 58.77 | 12.11 |
2012 | 57.86 | -0.91 |
2013 | 61.02 | 3.15 |
2014 | 61.09 | 0.08 |
2015 | 65.14 | 4.04 |
2016 | 72.76 | 7.62 |
2017 | 72.89 | 0.13 |
2018 | 73.91 | 1.02 |
2019 | 74.68 | 0.77 |
2020 | 74.91 | 0.22 |
2021 | 76.36 | 1.45 |
2022 | 76.8 | 0.44 |
2023 | 75.6 | -1.2 |