গত সপ্তাহে ঢাকার বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে, যা গ্রাহকদের, বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যদের জন্য আনন্দের। দাম কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে কিছু পণ্যের উৎপাদন মৌসুম, সরকারি হস্তক্ষেপ এবং নজরদারি উল্লেখ করা যেতে পারে। ফলস্বরূপ, ভোজ্যতেল, আলু, পেঁয়াজ, চিনি, ডিম এবং শাকসবজির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সস্তা দামে পাওয়া যাচ্ছে।
ব্যবসায়ীদের মতে, রমজানের আগে চাহিদা বৃদ্ধির পরপরই সরবরাহ বৃদ্ধি এবং চাহিদা হ্রাস, উভয়ই দাম হ্রাসের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। উপরন্তু, সরকারি পদক্ষেপ, বিশেষ করে ভ্যাট কর্তন ভোজ্যতেল এবং চিনি আমদানির উপর চাপ কয়েক দিন ধরে বাজারকে স্থিতিশীল করতে সাহায্য করেছে। তাছাড়া, মূল্যবৃদ্ধি সীমিত করতে এবং বাজারের চাপ কমাতে সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য বাজারে পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলির প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এই ইতিবাচক প্রবণতা সত্ত্বেও, সরবরাহ শৃঙ্খলে ব্যাঘাত এবং চাহিদার ওঠানামার কারণে প্রাথমিক প্রোটিন উৎস হিসেবে পরিচিত ব্রয়লার মুরগির দাম সামান্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে, সামগ্রিক বাজারের প্রবণতা ইতিবাচক কারণ অনেক প্রয়োজনীয় পণ্য ভোক্তাদের কাছে ক্রমশ সহজলভ্য হয়ে উঠছে।
নিম্নলিখিত সারণীতে গত সপ্তাহে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামের পরিবর্তনের বিশদ তুলনা দেওয়া হয়েছে।
পণ্য (কেজি/লিটার) | ১২ মার্চের দাম | ১৯ মার্চের দাম | হ্রাস |
সয়াবিন তেল | ১৭৪-১৮৪ টাকা | ১৫৭-১৬৮ টাকা | 9.22% |
পাম তেল | ১৪৬-১৫৫ টাকা | ১৪৫-১৫৩ টাকা | 1% |
আলু | ২০-৩০ টাকা | ১৮-৩০ টাকা | 4% |
চিনি | ১১৮-১২৫ টাকা | ১১৫-১২০ টাকা | 3.29% |
ডিম (৪ টুকরা) | ৪০-৪৫ টাকা | ৩৮-৪৫ টাকা | 2.35% |
আদা | ১০০-২২০ টাকা | ১০০-২০০ টাকা | 6.25% |
স্থানীয় পেঁয়াজ | ৩৫-৫০ টাকা | ৩০-৫০ টাকা | 5.88% |
স্থানীয় রসুন | ২০০-২৪০ টাকা | ১৫০-২০০ টাকা | 25% |
ব্রয়লার মুরগি | ১৮৫-২০৫ টাকা | ১৯০-২১০ টাকা | বৃদ্ধি পেয়েছে 2.56% |
বেগুন | ৮০-১১০ টাকা | ৬০-৯০ টাকা | ~20% |
শসা | ৫০-৭০ টাকা | ৪০-৫০ টাকা | ~20% |
টমেটো | ৩০-৩৫ টাকা | ২০-২৫ টাকা | ~28% |
কাঁচা মরিচ | ৬০-৮০ টাকা | ৫০-৬০ টাকা | ~16% |