১৯ মার্চ থেকে নবনির্মিত যমুনা রেলওয়ে সেতু পারাপারের জন্য যাত্রীদের বেশি ভাড়া দিতে হবে। বাংলাদেশ রেলওয়ে (ব্রি) সেতু নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অতিরিক্ত পন্টেজ চার্জ বা ফি আরোপ করেছে। সিরাজগঞ্জ থেকে টাঙ্গাইল পর্যন্ত সেতুটি ঢাকা এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাগুলির মধ্যে রেল যোগাযোগ উন্নত করবে।
ভাড়া বৃদ্ধির ফলে ৪.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুর উপর দিয়ে চলাচলকারী ৩০টিরও বেশি ট্রেন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। উদাহরণস্বরূপ, ঢাকা-রাজশাহী রুটে বিভিন্ন শ্রেণীর জন্য অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হবে:
শ্রেণী | ভাড়া বৃদ্ধি |
নন-এসি চেয়ার | ৪৫ টাকা |
এসি চেয়ার | ৮০ টাকা |
এসি সিট | ৯৫ টাকা |
এসি বার্থ | ১৪০ টাকা |
জাপানি অর্থায়নে ১৬,৭৮১ কোটি টাকার প্রকল্পের আওতায় নির্মিত যমুনা রেলওয়ে সেতুর নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় পুনরুদ্ধারের অংশ হিসেবে এই ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে। নতুন সেতুটি ভ্রমণের সময় কমিয়ে দেবে, ঢাকা থেকে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভ্রমণের সময় দুই ঘন্টা কমিয়ে দেবে। এটি মসৃণ এবং দ্রুত ট্রেন চলাচলকে আরও দক্ষতার সাথে সহজতর করবে, ভারী পণ্য পরিবহনকে আরও সহজ করবে।
বিআর ফেব্রুয়ারিতে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু করে এবং ১৮ মার্চ থেকে সেতুটি সম্পূর্ণরূপে চালু হয়ে গেলে, এটি সেতুর ধারণক্ষমতা এবং ধীর গতির তুলনায় অনেক প্রয়োজনীয় উন্নতি প্রদান করবে।
যদিও ভাড়া বৃদ্ধি জনপ্রিয় নাও হতে পারে, উন্নত পরিষেবা এবং সংযোগ যাত্রীদের পাশাপাশি পরিবহন খাতের জন্যও উপকারী হতে পারে।