প্রথমবারের মতো, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক উদরাময় রোগ গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা দেশে জিকা ভাইরাস সনাক্তকরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ২০২৩ সালে রোগীর নমুনার একটি ক্ষুদ্রাকার লক্ষ্যবস্তু স্ক্রিনিংয়ে, ঢাকায় পাঁচটি কেস সনাক্ত করা হয়েছিল যা বাংলাদেশে সনাক্ত হওয়া জিকা সংক্রমণের প্রথম ক্লাস্টার। ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে আইসিডিডিআর,বি ৩রা মার্চ ওয়েবসাইট।
গবেষকরা ঢাকার মহাখালীতে অবস্থিত একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে জিকা ভাইরাস সংক্রমণের সন্দেহে জ্বরে আক্রান্ত ১৫২ জন রোগীর স্ক্রিনিং করেছেন। পিসিআর-ভিত্তিক পরীক্ষায় একে অপরের এক কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারী ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজন রোগীর সংক্রমণ পাওয়া গেছে।
গত দুই বছরে কোনও রোগীর দেশের বাইরে ভ্রমণের ইতিহাস ছিল না, যা স্পষ্টতই স্থানীয় সংক্রমণ শৃঙ্খলের ইঙ্গিত দেয়। একজন রোগীরও ডেঙ্গু হয়েছিল এবং এইভাবে তিনি বাংলাদেশের প্রথম ব্যক্তি যার জিকা এবং ডেঙ্গু একসাথে সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে।
জিকা সাধারণত নির্ণয় করা হয় না কারণ বেশিরভাগ সংক্রামিত ব্যক্তিরা কেবল হালকা লক্ষণ অনুভব করেন। এটি গর্ভাবস্থায় মহিলাদের জন্য যথেষ্ট বিপদ ডেকে আনে, বিশেষ করে নবজাতকের মাইক্রোসেফালি যার ফলে অক্ষমতা এবং শিশুমৃত্যুর হার বৃদ্ধি পায়।
মশার মাধ্যমে, যৌন মিলনের সময়, রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে এবং মা থেকে শিশুতে সংক্রমণের মাধ্যমে সংক্রমণ হতে পারে। রোগ সনাক্তকরণের সম্ভাবনা এবং জনস্বাস্থ্যের হুমকি বিবেচনা করে, বিজ্ঞানীরা তাই বাংলাদেশে কোয়ারেন্টাইন এবং নিয়ন্ত্রণ প্রচেষ্টা বৃদ্ধির সুপারিশ করেছেন।